সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়

সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়

 সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। তাই আপনাদের জন্য এই আটিকেলে সৌদি আরব থেকে ইউরোপে যাওয়ার সহজ ও নিরাপদ উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তাই যারা এবিষয়ে ভালোভাবে জানতে চান তারা আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ অবধি মনযোগ সহকারে পড়ুন।

সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়ার বৈধ উপায়

সৌদি আরব থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য মূলত তিনটি বৈধ ভিসা পাওয়া যায়। যথা:-
  • টুরিস্ট ভিসা, 
  • স্টুডেন্ট ভিসা,
  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসা।

টুরিস্ট ভিসা

সাধারনত ৯০ দিন অথবা ৩ মাস মেয়াদে যেকোনো দেশে ভ্রমনের জন্য যে ভিসা ইস্যু করা হয় তাকেই টুরিস্ট ভিসা বলে।
টুরিস্ট ভিসায় সৌদি আরব থেকে সহজেই ইউরোপ যাওয়া যায়। এই টুরিস্ট ভিসায় যদি আপনি সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যেতে পারেন, তাহলে প্রথম কাজ হবে সুবিধাজনক ইউরোপের যেকোনো একটি দেশে ৯০ দিনের মধ্যে বৈধ কাজ যোগাড় করে নেওয়া, যদি আপনি দীর্ঘদিন বা স্থায়ীভাবে বসবাসের পরিকল্পনা করে থাকেন।

স্টুডেন্ট ভিসা

এক দেশ থেকে অন্য দেশে লেখাপড়া করতে যাওয়ার জন্য যে ভিসা ইস্যু করা হয় তাকেই স্টুডেন্ট ভিসা বলে। স্টুডেন্ট ভিসায় সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়া যায়, এক্ষেত্রে ইউরোপের যেকোনো একটি প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখার জন্য ভর্তির ইনভাইটেশন আপনার হাতে থাকতে হবে। তাহলে খুব সহজেই আপনি স্টুডেন্ট ভিসা পেয়ে যাবেন। উদাহরণস্বরূপ: যদি আপনার স্নাতক করা থাকে, তবে আপনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য এই ভিসায় এপ্লাই করতে পারবেন।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

কোন দেশে চাকরির জন্য যে ভিসা দেওয়া হয় তাকেই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বলা হয়। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যেতে চাইলে প্রথমে ইউরোপের বিভিন্ন চাকরির পোটোকল থেকে পছন্দ মতো চাকরি জন্য আবেদন করতে হবে। এরপর চাকরি হয়ে গেলে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেওয়া হবে। এই পদ্ধতিতে যেতে পারলে খুব সহজে ইউরোপের স্থায়ী নাগরিক হতে পারবেন। ইউরোপের দেশগুলোতে সব সময় ই শ্রমিকের শূন্যতা থাকে। তাই আপনার যদি শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতা থাকে তবে চেষ্টা করলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ইউরোপে যেতে পারবেন।

অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার পর বৈধ হওয়ার উপায়

কোনো দেশে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করা যদিও উচিত নয়, তারপরো অনেকে খরচ বাচাতে বা ভিসা না পাওয়ায় উন্নত জীবণের আশায় অবৈধ উপায়ে ইউরোপের দেশগুলোতে পাড়ি জমান। যদি আপনি অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশ করে থাকেন তাহলে আপনার প্রথম লক্ষ্য হতে হবে দ্রুত বৈধতা লাভ করা। কারণ ধরা পড়লে জেল হতে পারে এমনকি সাজা ভোগের পর শূন্য হাতে দেশে ফেরা লাগতে পারে।

এক্ষেত্রে ইউরোপের এমন কোনো দেশ বা প্রদেশ বেছে নেবেন, যেখান থেকে তুলনামূলকভাবে সহজে বৈধতা অর্জন করা যাবে। প্রয়োজনে  বাঙালি কোনো ব্যাক্তির সহয়তা পাবার চেষ্টা করতে পারেন

এছাড়াও যেকোনো শরণার্থী শিবিরে যেতে পারেন। কারণ শরণার্থী শিবিরে গেলে আপনার জন্য বৈধ হওয়া সহজ হবে। শরণার্থী শিবিরে গিয়ে আপনাকে এমন একটি কারণ বলতে হবে যার কারণে আপনি দেশে ফিরতে পারছেন না। আপনি যদি মিথ্যা কথা বলে বিশ্বাস যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন তাহলে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে যাবে। শরণার্থী শিবিরে ২ - ৩ বছর থাকার পরে TR (Temporary residenc) জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। আরো ৫ - ১০ বছর থাকার পরে PR (Permanent residence) জন্য এপ্লাই করে ইউরোপের স্থানীয় নাগরিক হতে পারবেন।

ইউরোপে চাকরি পাওয়ার উপায়

ইউরোপে চাকরি পাওয়ার জন্য অনেকে বড় অংকের টাকা দালালকে দিয়ে থাকেন। এভাবে অনেকে চাকরি পেলেও ক্ষতিগ্রস্থ প্রবাসী ভাইদের সংখ্যাই বেশি। যেহেতু এটা বৈধ প্রক্রিয়া না, তাই কেউ প্রতারিত হলে সঠিক বিচার ও টাকা ফেরত নাও পেতে পারেন।

তাই দালালকে টাকা না দিয়ে নিজেই নিজের চাকরি খুঁজে নেওয়া উচিত অথবা পূর্ব পরিচিত বা বিশ্বস্ত ব্যাক্তির সহয়তা নিতে পারেন। এতে করে টাকাও নষ্ট হবে না এবং কাজপত্র বৈধভাবে সংরক্ষিত হবে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url