একাদশীতে কি কি খাওয়া যায়? পঞ্চ শস্য কি কি?

একাদশী শব্দটির সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। প্রতিটি হিন্দু পরিবারে একাদশী পালন করা হয়। সকল মানুষের একাদশী ব্রত পালন আবশ্যক। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু তার লীলাবিনাসে প্রথম থেকে একাদশী উপবাসের প্রথা প্রবর্তন করেছেন।
একাদশী ব্রত পালন করলে সকল পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, এতে কোনো সন্দেহ নাই। শুধু তাই না, যে সকল পিতা মাতা তাদের নিজ কর্ম দোষে নরকবাসি হয়েছেন, তাদের সন্তানরা "একাদশী ব্রত" পালন করে নরক থেকে উদ্ধার করতে পারেন। অগ্নি পুরাণে বর্ণিত আছে, যতদিন মানুষের আয়ু থাকবে, ততদিন একাদশী পালন করা আবশ্যক।
একাদশীতে কি কি খাওয়া যায়
একাদশীর দিন কেউ যদি অসুস্থ থাকেন বা কোন কারণে সম্পূর্ণ না খেয়ে একাদশী পালন করতে অক্ষম হন তাহলে আপানি নিচের একাদশীর খাদ্য তালিকা অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করতে পারেন।
- হলুদ, কাচা মরিচ, সিন্দুক লবণ, পালং শাক, আলু, মিষ্টি আলু, কুমড়া, কাচা কলা, চালকুমড়া, জলপাই তেল, বাদাম তেল/সূর্যমুখী তেল, চিনি, মধু, ধনে পাতা, পুদিনা পাতা, আদা, দারুচিনি, টমেটো, গাজর, ঢ্যাঁড়শ, লেটুস পাতা, গোটা জিরা, বাদাম, ফুলকপি, বাধাকপি, শালগম, কারি পাতা, ফ্রেস ক্রিম, দুধ, (ঘরে বানানো ছানা বা পনির, দই, ঘী, মাখন এবং সব ধরনের ফল।
- ঘি, বাদাম তেল বা সূর্যমুখী তেলে গোটা জিরা ফোরন দিয়ে সবজি রান্না করে ভগবানকে ভোগ নিবেদন করে প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করতে পারবেন।
- হিং পাউডার, দোকানের গুঁড়া মসলা, চা, বিড়ি, সিগারেট, পান-সুপারি, তামাক এবং যেকোনো নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করা যাবে না।
পঞ্চ শস্য কি কি?
আমার সকলেই জানি যে একাদশীতে পঞ্চ শস্য আহার করা যায় না। কিন্তু অনেকেই পঞ্চ শস্য কাকে বলে সেটা জানি না। আসুন যেনে নেয়া যাক আসলে পঞ্চ শস্য কি কি? ধান, গম, ভূট্টা বা যব, ডাল ও তেল, এদেরকে একত্রে পঞ্চ শস্য বলা হয়।
- ধান থেকে তৈরি খাবার যেমন- ভাত, খিচুড়ি, মুড়ি, চিঁড়া, খই, সুজি, চালের পিঠা ও পায়েস ইত্যাদি।
- গম থেকে তৈরি খাবার যেমন- ময়দা, আটা, রুটি, সুজি ও বিস্কুট ইত্যাদি।
- ভুট্টা বা যব থেকে তৈরি খাবার যেমন- ছাতু, খই ও রুটি ইত্যাদি।
- ডাল জাতীয় খাদ্য- মুগ, মশুর, মটর, মাসকলাই, ছোলা, অড়হর, বরবটি, শিম ও বুট ইত্যাদি।
- সরিষা তেল, তিলের তেল ও সয়াবিন তেল ইত্যাদি।
উপরে বর্ণিত পঞ্চ শস্যের যে কোন একটি শস্য একাদশীতে গ্রহণ করলে একাদশী ব্রত নষ্ট হয়ে যায়।
খুব সুন্দর